নতুন চুল গজানোর সঙ্গে সঙ্গে চুল পড়া বন্ধ। কীভাবে? জেনে নিন।

                           


                         ফ্যাশনেবল আর হাই লাইফ স্টাইল মেনটেন করে, এমন ছেলে মেয়েদের চুল নিয়ে এক বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে দেখা যায়। অসময়ে চুল পড়ে যাওয়া অথবা নতুন চুল না গজানো বর্তমান দিনে এক সাধারণ সমস্যা। আমরা চুলকে সুস্থ রাখার জন্য নানা রকমের বাজারচলতি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। আবার যাদের চুল পড়ে গেছে তারা নানারকম ওষুধ ব্যবহার করে নতুন চুল গজানোর জন্য। 

                            নতুন চুল গজানোর জন্য বাজারের অনেক প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ফেলেছেন অথচ কোনো রকম সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন না। তাহলে অবশ্যই নিচের টিপসগুলো ফলো করুন। জানলে অবাক হবেন আমাদের প্রত্যেকেরই হাতের কাছে এমন চারটি উপাদান রয়েছে যেগুলো নতুন চুল গজাতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। যদি আপনি এই উপাদানগুলো নিয়মিত এক মাস ব্যবহার করেন তাহলে অবিশ্বাস্য ফল পাবেন। আপনার সমস্যার সমাধান হবে এক নিমেষেই। তাহলে দেখে নেওয়া যাক উপাদানগুলো কী আর কীভাবেই বা সেগুলো ব্যবহার করা যাবে। 

1. ক্যাস্টর অয়েল চুলের সমস্যায় ক্যাস্টর অয়েল এর নাম শোনেননি এমন লোক খুব অল্পই আছে যদি আপনার চুল পড়ে যাচ্ছে অথবা নতুন চুল গজাচ্ছে না তাহলে ক্যাস্টর অয়েলের ব্যবহার আপনার সমস্যার সমাধানে অনবদ্য ভূমিকা পালন করবে নতুন চুল গজাতে এর থেকে ভালো উপাদান বোধহয় আর হয় না ক্যাস্টর অয়েল এর মধ্যে অবস্থিত রিসিনলেইক নতুন চুল গজাতে মন্ত্রের মতো কাজ করে যে সকল লোকেদের ভ্রুতে কম চুল থাকে তাদেরকে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করার উপদেশ দেওয়া হয় এতে ভুরুর চুল মোটা হয়ে যায়।

পদ্ধতি এক চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল একটি পরিষ্কার পাত্রে ভালো করে মেশান। এবার রাতে ঘুমানোর আগে এই মিশ্রণটি ভাল করে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। মাথা না ধুয়ে সারারাত এই অবস্থায় রেখে দিন পরের দিন সকালে স্নান করার সময় যে কোনো ধরনের হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করে মাথা ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতি সপ্তাহে দুবার করলে খুবই ভালো হয়। তবে মনে রাখবেন যেন পরপর দু'দিন না হয়। মাঝখানে গ্যাপ দেবেন। এতে আপনি লক্ষ্য করবেন আপনার চুল পড়া বন্ধ হয়েছে এবং চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটছে। এই আমূল পরিবর্তন আপনি এক মাসের মধ্যেই লক্ষ্য করতে পারবেন। 


2. রসুন.  ভাবছেন তো! রসুন দিয়ে আবার কী হবে ? জানলে অবাক হয়ে যাবেন এই রসুন পারে আপনার পাতলা চুলকে অনেক শক্তিশালী ও ঘন করতে। রসুনে থাকে প্রচুর পরিমাণে সালফার যা চুলের বৃদ্ধিতে অবিশ্বাস্য সাহায্য করে।

পদ্ধতি: প্রথমে তিন থেকে চার কোয়া রসুন নিন এবার এই রসুন গুলোকে ভাল করে থেঁতলে নিন যাতে রস বের করতে সুবিধে হয়। এবার রসুনের সঙ্গে আপনার চুলের মাপও প্রয়োজন অনুযায়ী নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এবার ভাল করে গরম করে নিন। এরপর মিশ্রণটি হালকা ঠান্ডা করে ভালো করে স্কাল্পের উপর মেখে নিন। ভালো করে মাথা ম্যাসাজ করে নিন ও এই অবস্থায় সারারাত রেখে দিন। পরের দিন সকালে ভালো করে আপনি যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন সেই শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। এই পদ্ধতি সপ্তাহে অন্তত দুই দিন অনুসরণ করুন। দেখবেন দুই সপ্তাহ পরে আপনার চুল পড়া অনেকটাই বন্ধ হয়েছে এবং নতুন চুল গজাতে আরম্ভ করেছে। 

3. পেঁয়াজে’র রসঃ গৃহস্থের রান্নাঘরে যে সকল সামগ্রী উপস্থিত তাদের মধ্যে চুলের যত্নে পেঁয়াজ এর জুড়ি মেলা ভার। পেঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। 

পদ্ধতি বাড়ির রান্নাঘর থেকে একটু বড় মাপের একটি পেঁয়াজ নিন। এবার পেঁয়াজ টাকে একটু থেঁতলে নিন যাতে পেঁয়াজ থেকে রস বের করতে সুবিধা হয়। এবার রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পেঁয়াজের রস মাথার স্কাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে মাথাটা ধুয়ে নিন। এই পদ্ধতি একদিন ছাড়া একদিন মাথাতে প্রয়োগ করুন।  এ পদ্ধতি প্রয়োগের ঠিক এক মাস পর মাথায় নতুন চুল গজাতে দেখা যাবে ।

          এছাড়া অতিরিক্ত চুল পড়া রোধ করতে নিয়মিত চুলের পরিচর্যা নিন। মাথার স্কাল্পে কুঁচকে বা অন্যান্য ময়লা জমতে দেবেন না। দরকার হলে চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সপ্তাহে একবার কাঁচা ডিম ও মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল যেমন স্বাস্থ্যকর দেখায় তেমনি চুল পড়া অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়।


এই পোস্টটি অবশ্যই আপনার প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.