আপনি কি কাজের ফাঁকে ঘুমিয়ে যান? তাহলে আজই জানুন এর ফলে কি হতে পারে।

                      ব্যস্ততা জীবনের আরেক নাম। বর্তমান দিনে একথাটা আমাদের জীবনের সঙ্গে অনেকটাই প্রাসঙ্গিক। জীবনের নানান ধরনের চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের প্রত্যেককে স্বাভাবিকের থেকে একটু বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই দিন শুরুর সাথে সাথেই চারিদিকে ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। আর এই ব্যস্ততা বা একটানা কাজ থেকেই আছে শারীরিক ক্লান্তি।


                 আচ্ছা আপনি যদি ক্লান্ত হয়ে পড়েন তাহলে কি করেন? কিছু জন চা বা কফি পান করেন। কেউ আবার একটু এদিক-ওদিক হাঁটাহাঁটি করেন ।কেউ আবার যাতে ঘুম না আসে, সহজে ক্লান্ত না হন তার জন্য নানান রকম ঔষধ সেবন করেন। এসবের কোন দরকার নাই। আপনি যদি কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, আপনার চোখে ঘুম আসে, তাহলে কয়েক মিনিট ঘুমিয়ে নিতে পারেন। কাজের ফাঁকে কিছু সময় যদি আপনি ঘুমিয়ে যান তাহলে কার্যক্ষমতা যেমন বাড়ে তেমনি কাজ করার মানসিকতাও অনেকটাই বেড়ে যায়। আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন কাজের ফাঁকে ঘুমিয়ে গেলে আর ঘুম ভাঙবে না। আর যদিওবা ঘুম ভেঙে যায়, তাহলে ঘুম থেকে উঠে কাজ করার মানসিকতা আপনার থাকবে না। কাজে মন লাগবে না। কেউ আবার বলেন যদি দিনের বেলা কাজের ফাঁকে ঘুমানো যায়, তাহলে রাতের ঘুমের উপর বিশেষ প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন ডাক্তারবাবুরা এবং বিশেষজ্ঞরা বারবারই বলে আসছেন কাজের ফাঁকে ক্ষণিকের ঘুম কার্যক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কাজ করার মানসিকতাও বাড়িয়ে দেয়। 



এখন প্রশ্ন কাজের ফাঁকে ঠিক কতটা সময় ঘুমাবেন? এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন মতামত ঘোরাফেরা করে। অনেকে বলেন কাজের ফাঁকে 5 মিনিট যথেষ্ট, কেউ আবার বলেন 10 থেকে 15 মিনিট, কেউ কেউ বলেন 30 থেকে এক ঘন্টা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে কাজের মাঝে আপনি যদি 10 থেকে কুড়ি মিনিট ঘুমিয়ে নেন, তাহলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়বে। কার্যক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যাবে।

 তাই কাজের সময় যদি ক্লান্তি অনুভব করেন, কাজ করতে একঘেয়েমি অনুভব হয়, তাহলে 10 থেকে 20 মিনিট ঘুমিয়ে নিয়ে আবার কাজ শুরু করুন ।দেখবেন ফল পাবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.