👉👉 বর্ষায় ইলিশের পাশাপাশি ভোজনরসিক বাঙালির কাছে আম সত্যিই এক রসালো খাদ্য। গ্রীষ্মের সময় সারি সারি আমের দোকান বাচ্চা থেকে বুড়ো সভার জিভে জল এনে দেয়। আম (mango)খেতে কে না ভালোবাসে! গরম মানেই ফলের রাজা আম (mango) বাঙালির ঘরে ঘরে। হিমসাগর, মল্লিকা, আম্রপালি, ল্যাংড়া, গোলাপখাস কাকে ছেড়ে কাকে নেবেন...রসে বশে সবাই যে মিষ্টি।
শুধু যে সুস্বাদ আর সুগন্ধির জন্য আম পরিচিত এমনটা নয়। এই ফল (mango) নানা পুষ্টিগুণেও ভরপুর। প্রচুর ক্যালরিতে ভরপুর আমে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রণ, ক্যালসিয়াম ও খনিজ লবন-সহ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। তাই স্বাস্থ্যসচেতন বাঙ্গালীদের জেনে রাখা দরকার, আম খাওয়ার পরে কিছু খাবার খেলে পড়তে পারেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। দেখে নিন সেগুলি কী কী-
জল (Water)
আমরা প্রায় প্রত্যেকেই বাড়ির বয়স জ্যেষ্ঠ দের বলতে শুনি - খালি পেটে জল ভরা পেটে ফল। আমের ক্ষেত্রেও এটি শতভাগ সত্যি। আম খাওয়ার পর জল (water) পান করলে ভুগতে পারেন অ্যাসিডিটির সমস্যায়। হতে পারে পেট ব্যথাও। তাই আম খাওয়ার অন্তত আধঘণ্টা পর জল (water) পান করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ফলের মধ্যে প্রচুর হাইড্রেটিং শক্তি রয়েছে যা আপনার তৃষ্ণা নিবারণের জন্য যথেষ্ট। তবে যদি আপনি ফল খাওয়ার পরেও তৃষ্ণার্ত বোধ করেন তবে কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর জল খান। বেশিরভাগ চিকিত্সক এবং ডায়েটিশিয়ানরা ফল এবং জলের মধ্যে ৪০-৫০ মিনিট ব্যবধানের পরামর্শ দেন। আপনি যদি বেশি তৃষ্ণার্ত বোধ করেন তবে ফল খাওয়ার ৩০ মিনিটের পর এক বা দুটি চুমুক পান করতে পারেন।
দই (Curd)
স্বাস্থ্যসচেতন ভোজন রসিক বাঙালিরা খাওয়ার পর দই খেয়ে থাকে। প্রতিদিন খাওয়ার পর নিয়মিত দই খেলে আপনি যেমন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন তেমনি রোগজীবাণু থেকেও দূরে থাকবেন। তবে মনে রাখবেন আমের সঙ্গে ভুলেও দই মিশিয়ে খাবেন না। কারণ দই আর আম এক সঙ্গে শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এতে চামড়ায় অ্যালার্জি হতে পারে। হতে পারে হজমে সমস্যা, এমনকি পাকস্থলীতে বিষক্রিয়াও হতে পারে এর থেকে।
করলা (Bitter Gourd)
করলার স্বাস্থ্যগুণ নিয়ে আমাদের কারোর দ্বিমত নেই। নানান ধরনের শুক্তো জাতীয় খাবার প্রস্তুত করতে করার প্রয়োজন হয়। তবে আম খাওয়ার পর কখনই করলা খাবেন না। খেলে বমিভাব হতে পারে। অনেকের বমিও হতে পারে। হতে পারে শ্বাসকষ্টও।
ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার কখনও নয় (Junk Food)
বাচ্চা থেকে বুড়ো জাঙ্কফুড প্রেমিকদের আমরা রাস্তায় বেরোলেই দেখতে পাই ।তবে সাবধান আম খাওয়ার সাথে সাথে ঝাল কিংবা মশলাযুক্ত খাবার খেলে হজমে সসম্যা দেখে দিতে পারে। ভুগতে পারেন অ্যালার্জিতেও।
কোমল পানীয় (Soft Drink)
সফট ড্রিঙ্ক বিভিন্নভাবে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। তবুও আমরা বিভিন্ন রকম আচার অনুষ্ঠানে সফট ড্রিংকস এড়িয়ে চলতে পারি না। তবে মনে রাখবেন আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোমল পানীয় খেলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আম আর কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকায় রক্তে ব্লাড সুগারের পরিমান বাড়ার আশঙ্কা থাকে, যা ডায়বিটিস রোগীদের জন্যও ভীষণ বিপদের কারণ হতে পারে।
উপরের এই নিয়মগুলো যদি আম খাওয়ার সময় মেনে চলেন ,তাহলে শারীরিক বিপদের সম্মুখীন আপনি হবেন না। গরমের সময় ফলের রাজা কে উপভোগ করুন ও সুস্থ থাকুন।
Darun.veryvhelpful
উত্তরমুছুন