বাঙালি মানেই ভোজনরসিক এ কথা আমরা কেউই অস্বীকার করতে পারিনা। আর ভোজনরসিক বাঙালির মেনুতে ইলিশ থাকবে না এ কথা ভাবাই যায় না। রিমঝিম বর্ষাতে নদী-নালা যখন যৌবনে উদ্দীপ্ত তখন বাঙালি বেরিয়ে পড়েন ইলিশের সন্ধানে। বর্ষণমুখর দিন ইলিশ আর খিচুড়ি সঙ্গে বেগুন ভাজা, এমন মেনু মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চ মধ্যবিত্ত বাঙ্গালীদের বাড়িতে প্রায় লক্ষ করা যায়। এমনকি কোনো কোনো জায়গায় রূপোলী মাছ কিনতে ইলিশ প্রেমীদের দোকানের সামনে লাইন দিয়েও থাকতে দেখা যায়।
বাঙালির জামাইষষ্ঠী হবে আর জামাইয়ের পাতেও ইলিশ থাকবে না এটা ভাবাও যায় না। শুধু ইলিশ প্রেমী নয় সারা বিশ্বের কাছে পদ্মার ইলিশ সমাদৃত। ইলিশ মানেই পদ্মার ইলিশ এটাই এতদিন চিরসত্য ছিল।
তবে শুনলে চমকে যাবেন আধুনিক এক গবেষণায় বাংলাদেশের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন বাংলাদেশের অধিকাংশ ইলিশ আসে মেঘনা থেকে। স্বাদ আর পুষ্টিতে এই মেঘনার ইলিশ সারা বিশ্বের ইলিশের থেকে সেরা। মেঘনার ইলিশ গুলো মূলত আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ধরা পড়ে। সাধারণভাবে দেখা যায় সমুদ্রে থাকা অবস্থায় ইলিশের ওজন ও স্বাদ অনেকটাই কম থাকে। খাদ্য হিসাবে ইলিশ যে সমস্ত সামগ্রী গ্রহণ করে সেগুলোর বেশিরভাগই সমুদ্রে পাওয়া যায় না বা কম থাকে। নদী ও মোহনায় যখন ইংলিশ এসে যায় খাদ্যের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। নদীর মোহনাতে বিশেষ করে মেঘনা অববাহিকায় এ জাতীয় কণার উপস্থিতির আধিক্য সবচেয়ে বেশি এমনটাই দাবি করেছেন গবেষকরা।
মেঘনা অববাহিকায় উপস্থিত খাদ্যকণা থেকে ইলিশ যে খাদ্য গ্রহণ করে এতে ইংলিশের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড ও ওমেগা-থ্রি তৈরি হয় ।উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন ও ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করা সহ নানা কাজে এই দুটি উপাদান মানুষের উপকার করে।