কিডনি সুস্থ রাখতে এই খাওয়ার গুলো এড়িয়ে যান। শরীরে কিডনি-এর শত্রু কারা?

               


কথায় আছে প্রত্যেক সকল ব্যক্তির পিছনে কোন না কোন নারীর হাত আছে। আপনি কি জানেন প্রত্যেক সুস্থ-সবল শরীরের পিছনে কার হাত আছে? হ্যাঁ ঠিকই ভাবছেন সুস্থ-সবল শরীর পেতে আমাদের শরীরে যে অঙ্গটি নারীর ভূমিকা পালন করে সে আর কেউ নয় আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনী। যৌবনে তথা বার্ধক্য এর আগে আমরা নানা রকম মসলা সমৃদ্ধ খাবার খাই। আবার কিছু খাবার অত্যাধিক পরিমাণে গ্রহণ করি ।এক কথায় বলতে গেলে আমরা আমাদের শরীরের উপর  শারীরিক অত্যাচার করি। আর এই অত্যাচারের ফলে আমাদের শরীরের নানান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। হজম শক্তির রাজা অন্যতম অঙ্গ কিডনি কিন্তু এই অত্যাচার থেকে বাদ পড়ে না। আমরা যদি কিডনিকে সুস্থ রাখতে পারি তাহলে আমরা শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারবো। তাই আমাদের এমন কিছু খাওয়া উচিত নয় যা আমাদের কিডনিকে দুর্বল করে দেয় ।

                  তাই নিচের এই খাদ্য গুলোর দিকে আমাদের বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন:


1. আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে লবণ কে আমরা বাদ দিতে পারব না। খাদ্য লবণের অনুপস্থিতি খাদ্যকে মুখোরোচক বানাতে পারেনা। আমরা সবাই জানি এই লবণের মধ্যে আছে সোডিয়াম। জানলে অবাক হয়ে যাবেন এই সোডিয়াম আমাদের কিডনির চরম শত্রু। তাই যতটা সম্ভব নুনু খাওয়া কম করুন বা এড়িয়ে চলুন। 

2.  কিডনির কার্যক্ষমতা কমাতে যে সমস্ত খনিজ গুলো অন্যতম ভূমিকা পালন করে তাদের মধ্যে একটি হলো পটাশিয়াম। কলা ও কমলালেবুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমান পটাশিয়াম যদি আপনি নিয়মিত কলা ও কমলালেবু খেয়ে থাকেন তাহলে অভ্যাস অনেকটা কমিয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত কমলালেবু ও কলা খেলে কিডনির সমস্যা কিন্তু হতে পারে। 


3. শর্করা খনিজ লবণ ভিটামিন এর পাশাপাশি আমাদের শরীরকে সবল রাখতে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। আর এই প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস হলো মাংস। যা আমাদের সকলের প্রিয়। আমাদের প্রত্যেকেরই বাড়িতে মাংস রান্নার সময় অতিরিক্ত পরিমাণ মসলার ব্যবহার করা হয়। মাংস এমনিতেই সহজপাচ্য নয় তার উপরেই অতিরিক্ত মসলা আমাদের কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই কোনভাবেই প্রতিদিন মাংস খাবেন না। সপ্তাহে একবার অথবা মাসে দুইবার পরিমিত পরিমাণ মাংস গ্রহণ করুন। 

               আমরা ছোট থেকেই প্রত্যেকে পড়ে আসছি বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ। এই প্রসঙ্গে বলা ভালো বিজ্ঞানকে যদি আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করি তাহলে বিজ্ঞান আশীর্বাদ আর যদি না ব্যবহার করে তাহলে বিজ্ঞান অভিশাপ। সব খাবারই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। যদি আমরা পরিমিত খাবার গ্রহণ করি তাহলে সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো হবে। যদি আমরা  অপরিমিত খাবার গ্রহণ করি তাহলে আমরা স্বাস্থ্য এর বিপদ ডেকে আনবো। তাই পরিমিত খাবার সেবন করুন নিজেকে সুস্থ রাখুন ও নিজেদের পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখুন। 


পোস্টটি আপনার প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করে প্রিয়জনদেরও সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.