বর্তমান দিনে সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত নেই এমন লোক খুব কমই আছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে নানান ধরনের ছবি আপলোড করে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করার প্রবণতা বেশির ভাগের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। এরকম অনেককেই লক্ষ্য করা যায় যে সকল যুবক যুবতীরা দিনে 5 থেকে 10 নয়, 100 থেকে 150 পর্যন্ত সেলফি আপলোড করেন।
আমরা সবাই জানি অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়। প্রত্যক্ষভাবে মনে হতেই পারে যে সেলফি তোলা আবার স্বাস্থ্যের পক্ষে কিসের ক্ষতিকারক? কিন্তু পরোক্ষভাবে অতিরক্ত সেলফি ম্যানিয়া আপনার নানান ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
⌚যে সকল ব্যক্তিরা দিনে প্রচুর পরিমাণ সেলফি তোলেন এবং আপলোড করেন তারা দিনের বেশিরভাগ সময়টা মোবাইলেই কাটিয়ে দেন।
😭 অতিরক্ত সেলফি তোলার ফলে আপনি সেলফির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকবেন। ভালো সেলফি তোলার জন্য বারবার চেষ্টা করবেন। আর যদি তাতে সফল না হন তাহলে বিভিন্ন রকম মানসিক সমস্যায় ভুগতে পারেন।
🍷যদিও সেলফি মাদকদ্রব্য সেবন এর মতো এতটা ক্ষতিকারক নয়, তবুও শারীরিক নানারকম পরোক্ষ ক্ষতিসাধনে সেলফির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
🌘 অনেকে আবার এমনও আছেন সেলফিতে নিজেদের সুন্দর করার জন্য নানা রকম প্রাথমিক স্টেপ নেন, তাতেও যদি সেলফি সুন্দর না হয় হতাশার জন্ম নেয় ও আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন।
👉 যে সকল ব্যক্তি অতিরিক্ত সেলফিতে মগ্ন থাকেন, শরীরের সাধারণ সৌন্দর্যের সমস্যায় তারা ভেঙে পড়েন। চেহারার সামান্য ত্রুটি নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তার শিকার হয়ে যান।
🌑 সেলফি তুলে আপলোড করাটা নিছক কোন অভ্যাস নয়। বন্ধু সারকেল থেকে লাইক ও কমেন্ট এর নেশায় সেলফি গ্রাহকরা এতটাই মুগ্ধ হয়ে থাকেন যে, সামান্য লাইক বা কমেন্টের ঘাটতিতে অতিরিক্ত মানসিক সমস্যায় ভোগেন।
এছাড়াও সেলফি তোলার ম্যানিয়া আপনাকে নানান ধরনের সমস্যার মুখোমুখি করতে পারে। ক্রিটিক্যাল জোন থেকে- যেমন ট্রেন লাইনের উপর থেকে, রাস্তা পেরোনোর সময়, অন্যান্য বিপদজনক জায়গা থেকে ইয়ং জেনারেশন কে সেলফি তুলে পোস্ট করতে আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই এখনি সেলফি ম্যানিয়া থেকে নিজেকে মুক্ত করুন ও স্বাভাবিক জীবন-যাপনে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
নিজে ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ও অন্যকে ভাল রাখতে সদুপদেশ দিন।।