Healthy Eating : আপনি যদি ওয়ার্কহোলিক হন তবে এখনই সাবধান। কারণ, কাজের চাপের মধ্যে কাটানো এবং অসময়ে রোজ খাবার খেলে আপনার মুডকে প্রভাবিত করবে। তাই এই সমস্ত মানুষদের স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। রোজকার স্বাস্থ্যকর খাবার আপনাকে মানসিক উন্নতির পাশাপাশি বিষন্নতাকে দূরে রেখে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে পারে। আপনি যদি সারাদিনই ব্যস্ত থাকেন, তাহলে রোজ কী কী খাবার খাওয়া উচিত জেনে নিন।
বর্তমান সময়ে কাজ এবং জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রক্ষা করা খুবই কঠিন । ভালো জীবনযাপন করা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, স্বাস্থ্যকর জীবন অনুসরণ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ব্যস্ত ওয়ার্কহলিক মানুষের কাছে বসে খাবার খাওয়ারও সময়টুকু পান না । বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের মানুষের স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়া উচিত, যা আপনাকে মানসিক উন্নতির পাশাপাশি বিষন্নতাকে দূরে রেখে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে পারে। শুধু সুস্থ শরীরের জন্য নয়, এনার্জি লেভেল বাড়াতেও এগুলো সাহায্য করবে।
১) জোয়ার, বাজরা, গমের রুটি:
বিশেষজ্ঞেরা বলেন যে চাল, রাগি, জোয়ার, বাজরা এবং গমের মতো শস্যগুলিকে আমাদের প্রতিদিনের খাবারে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সব খাদ্যগুলো গ্লুটেনমুক্ত এবং ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ।
২)স্বাস্থ্যকর জলখাবার খান:
যারা সারাদিন ব্যস্ত থাকেন তাদের প্রায়ই breakfast miss করেন।এটি স্বাস্থ্যকর মোটেই নয়। সকালে হাল্কা খাবার যেমন কুমড়া এবং সূর্যমুখী বীজ, বাদাম, ফল, কম চিনি,ডিম, অঙ্কুরিত মুগ, ভাজা ছোলা খাওয়া উচিত। এগুলি প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী।
৩)বীজ এবং বাদাম:
বাদাম তাত্ক্ষণিক শক্তি প্রদান করে। বাদাম খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সহায়ক। একইভাবে বীজে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর।
৪)জল:
আমরা কাজের চাপে জল খাবার কথা তেমন মনে করি না। কিন্তু সারাদিন হাইড্রেটেড থাকলে শক্তির মাত্রা বজায় রাখে। বেশি জল খেলে আপনার শরীরকে টক্সিন মুক্ত করে এবং জয়েন্টগুলিকে লুব্রিকেট করতে সাহায্য করবে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারাদিন প্রচুর জল পান করাও প্রয়োজন।