বাঙালি মানে বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর উৎসবপ্রিয় বাঙালি উৎসবের সময় নানান রঙের পোশাকে সজ্জিত হবে না এমন ভাবাও যায় না। প্রাচীন কাল থেকে উৎসবের সময় নিজেকে নতুন রূপে উদ্ভাসিত করার প্রথা আমরা দেখে আসছি। উৎসবে বাঙালি যে শুধু পোশাকের কথাই ভাবেন, এমনটা নয়। মন্ডপে মন্ডপে নজর কাড়া লুক নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় বাঙালি যুবক-যুবতীদের। ভাবছেন তো নিজেও কিভাবে নজর কাড়া লুক নিয়ে আসবেন।
পূজোতে নজর কাড়া লুক চান? তাহলে জেনে নিন এই ঘরোয়া টিপস্।
পূজায় পছন্দের জামার সঙ্গে জেদি পিম্পল যুক্ত old face কে টাটা বলুন। পূজার আগে আমরা hair shaping, pedicure, manicure, দামী facial, আরো কত কি আমরা করে থাকি। কিন্ত আপনি কি জানেন ঘরেই কম খরচে facial এর মতো জেল্লা আমরা পেতে পারি। ন্যাচারাল এবং কোনোরকম side effects ছাড়াই আপনি এর ফলাফল পেতে পারেন।
১) বেসন এবং হলুদ: ৪ চামচ বেসন আর ২চামচ কাচা হলুদ বাটা অথবা organic হলুদ গুঁড়ো নিন। ভালো করে মেশান এবং এটি মুখে লাগান। ১৫- ৩০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে নিন।বেসনে আছে চমৎকার স্ক্রাবিং পাওয়ার। এর সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে মাখলে মুখের ডার্ক স্পট, ডার্ক সার্কেল, পিম্পল, রোদে পোড়া ট্যান দূর হবে।
২) বেসন এর সঙ্গে দুধের সর: বেসনের সঙ্গে দুধের একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর মিশ্রণ মুখে মাখুন এবং ৫-১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আনবে এবং ত্বককে মোলায়েম ও করবে।
৩) বেসন এবং অ্যালোভেরা : তিন চামচ বেসন আর এক চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। অ্যালোভেরা আপনার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। এই প্যাকটি লাগানোর ১৫ থেকে ২৫ মিনিট রাখুন। তারপর পর্যাপ্ত জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই প্যাক সম্পূর্ণরূপে ত্বকের পক্ষে খুবই ভালো।
এছাড়াও আপনি পরিবর্তন করতে পারেন আপনার daily diet. ফাস্টফুডের বদলে বেশি করে বাড়ির খাবার খান। স্যালাড খান। জলোযোগে ফল যোগ করুন। আর পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। এতে আপনি সুস্থ থাকার পাশে ভিতর থেকেই গ্লো করবেন। এভাবে নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার পুজো হবে অন্যান্য বছর গুলোর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। একেবারে নতুন জেল্লা, নতুন রূপ নিয়ে আপনি আপনার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের সম্মুখীন হবেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবেন।