আপনার সন্তান কি মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে? পড়াশুনাতে মনোযোগ নেই? কীভাবে মনোযোগ আনবেন?

                 বর্তমানের অ্যানড্রয়োটিক যুগে distraction হয়ে যাওয়াটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। কম বয়সী ছেলেমেয়েরা সহজেই এই ইন্টারনেট, আধুনিক মোবাইল গেমসের জালে জড়িয়ে পড়ে নিজেদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে ফেলে। এতে তাদের পড়াশোনার ক্ষতিও হয়। কর্মেব্যস্ত বাবা-মা বাচ্চাদের সময় দিতে পারেন না, তাদের বায়না মেটাতে হাতে তুলে দেন স্মার্ট ফোন। আর স্মার্ট ফোন এ চোখ রেখে কেটে যায় সময়। 

             


 মোবাইল একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাজেট। এটি ছাড়া আমাদের দিন অসম্পূর্ণ। বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে এটি কাজে লাগে। তবে students রা, এর ব্যবহার সীমিত করে পড়াশোনায় কীভাবে মনোযোগ বসাবে সেটি জানা অতি গুরুত্বপূর্ণ। 


                  আমরা অনেকেই online tuition নিই। pdf থেকে পড়াশোনা করি। কিন্ত অনেক সময়  social media এর notification আমাদের distracted করে দেয়। তাই আমরা ক্লাসের লেকচার, পড়া বাদ দিয়ে সেগুলো নিয়ে পড়ে যাই। বিভিন্ন রকম আকর্ষণীয় গেমসে addicted হয়ে পড়ি। পড়াশোনার থেকে গেমস এর চ্যালেঞ্জ পূর্ণ করার জেদ বাড়তে থাকে। সুতরাং পড়াশোনার ক্ষতি হয়। অ্যাডাল্ট ভিডিও গুলো ও মোবাইল addiction এর অন্যতম কারণ হয়ে দাড়ায়। 

                তাই ফোন addiction থেকে মুক্তি পেয়ে কেবলমাত্র নিজেদের সময় এবং এই গ্যাজেট টিকে কীভাবে কাজে লাগাব চলুন জেনে নিই।


১) online ক্লাস করার সময় সমস্ত social media এর notification block করে রাখুন। নিজের সময় সম্পর্কে অবগত হন। 



২) প্রোমোডোরো টেকনিকের মাধ্যমে পড়ুন। এই টেকনিক অনুযায়ী ২৫ মিনিট করে একটানা পড়ুন তারপর ৫মিনিট break নিন। খেয়াল রাখবেন যাতে ব্রেকিং টাইম বেশি না হয়ে যায়।


৩) এইভাবে পড়ার এক থেকে দুই ঘন্টার পর বড়ো আধ ঘন্টার ব্রেক নিন। এই সময় হাল্কা হাঁটুন, গান শুনুন, অথবা আপনার hobbies গুলো করুন।


৪) Social media ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময়ে বাঁধুন। দিনের কোন একটি সময়ে এই কাজ করতে পারেন। এতে পড়াশোনা ও বেশি চাপের মনে হবে না।


৫) সকালে মেডিটেশন করুন । এতে মন কে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। 



৬) বিভিন্ন রকম exercise করুন। এক্সারসাইজ করলে শুধু যে আমরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকি এমনটা নয় শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এর পাশাপাশি সুস্থ-সবল শরীর  পাই। একইসঙ্গে মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্যও এক্সারসাইজ প্রয়োজন। আর যখন আপনি মানসিকভাবে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন তখন যে কোন জিনিসের প্রতি মনোযোগ দিতে পারবেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.