বহু প্রাচীন কাল থেকে মানুষ সৌন্দর্য এর পূজারী। তাই সুন্দর থাকা ও সুন্দর হওয়ার ইচ্ছে আমাদের সকলের আছে। সৌন্দর্য ও বয়স একে অন্যের সাথে সমানুপাতিক। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্য কমতে থাকে। বয়স কমানো সম্ভব নয়, কিন্তু বয়স বাড়ার বিপরীতে সৌন্দর্য ধরে রাখা challenging ব্যাপার। একেই আমরা চলতি ভাষায় বয়স কমানো বলি।
আপনিও কমাতে পারেন আপনার বয়স। জেনে নিন কীভাবে?:
প্রতিদিন বেশি বেশি করে হাঁটুন:
হাঁটার একটি দুর্দান্ত physical activity যেটি আমাদের শরীর এবং সাস্থ্য এর জন্য উপকারী। প্রতিদিন দ্রুত হাঁটলে শরীরের মেদ, হার্টের সমস্যা, এনার্জি লেভেল বৃদ্ধি, টেনশন কমানো প্রভৃতি কমানো যায়। ইমিউনিটি বাড়াতেও এটি সাহায্য করে। প্রতিদিন একটু একটু করে হাঁটার পরিমাণ বাড়ান। দিনের বিভিন্ন সময় ভাগ করেও নিতে পারেন , যেমন লাঞ্চের পর, ডিনারের পর হাল্কা হাঁটুন।
গবেষণা অনুযায়ী খাওয়ার পর হাল্কা হাঁটলে শরীরের ইনসুলিন এবং সুগারের লেভেল ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।
হাঁটার সময় হাতে হাল্কা ওজন নিতে পারেন:
হাঁটা একটি অতি সহজ exercise। এটিকে আরও চ্যালেঞ্জিং এবং ইন্টারেস্টিং করতে আপনি হাতে হাল্কা ওজন নিয়ে হাঁটুন। এটি আপনার শরীরের বেশি ক্যালোরি বার্ন করবে। মাসল তৈরি করতে সাহায্য করবে। খেয়াল রাখবেন যেন ওভার ওয়েট বহন করবেন না, এতে ঘাড় এবং কাঁধ আহত হতে পারে।
নিয়মিত শরীরচর্চা:
শুধুমাত্র হাটা নয়, হাঁটার পাশাপাশি অন্যান্য ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ ও হালকা শরীর চর্চা আপনার বয়স নিয়ন্ত্রণে আপনাকে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। যদি আপনি কাজের চাপে প্রতিদিন শরীর চর্চা করতে না পারেন একদিন অন্তর আপনি আপনার শরীরচর্চা চালিয়ে যান,এতে শরীরের উপর খুব বেশি নেগেটিভ প্রভাব পড়বে না।
পর্যাপ্ত জল পান করুন: আমাদের শরীরের কোষের প্রধান অংশ জল জল। ছাড়া যেমন আমরা বাঁচতে পারি না, ঠিক একইভাবে আমাদের দেহের বা ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে জলই প্রধান ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি নিয়মিত জল পান না করেন তাহলে আপনার কোষগুলো অর্থাৎ ত্বক শুকনো হয়ে যাবে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করুন দেখবেন আপনি অনেক তরতাজা আছেন।
খাওয়ার ও ঘুম: নিজেকে তরতাজা যুবক বা যুবতী বানাতে হলে রিচ বা বা প্রচুর তেল মসলা যুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। যতটা সম্ভব পারেন হালকা রান্না করা খাবার খান। সব খাওয়ারে সবজি এর পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা করুন। অল্প অল্প করে সারাদিনে অনেকবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। মনে রাখবেন রাতে সাত থেকে আট ঘন্টা নিশ্চিন্তে ঘুম আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখবে। তাই ঘুম এর দিকে বিশেষ নজর দিন।
গতি পরিবর্তন করে করে হাঁটুন:
আপনার শরীরের কমফরটেবল্ লেভেল অনুযায়ী দ্রুত থেকে মধ্যম গতিতে হাঁটুন। এইভাবে হাঁটলে হার্ট রেট, শরীরের ক্যালোরি বার্ন ও করবে।প্রতি ২০ মিনিট অন্তর হাঁটার গতি পাল্টাতে পারেন এতে একঘেয়েমি দূর হবে।
লিফট, এসকেলাটর এড়াতে পারেন:
অফিস টাইমে, শপিং করার সময় আপনি লিফট এ না গিয়ে সিঁড়ি ব্যাবহার করুন। এতে শরীরচর্চা হয়ে যাবে।
হাঁটার সময় পোষ্যকে সঙ্গে নিতে পারেন:
বাড়িতে পোষ্য থাকলে তাকে সঙ্গে নিন। তার এদিক সেদিক দৌড়ে আপনার কার্ডিও এবং মনোরঞ্জন দুটোই হবে।
এছাড়া আপনি বন্ধু অথবা পড়শির সঙ্গে ও হাঁটতে যেতে পারেন।