আপনি কি অনিদ্রায় ভুগছেন? সাবধান! এই নিয়ম কানুন মেনে চলুন।

                  অতিরিক্ত কাজের চাপ, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌরাত্ম্য দিন দিন আমাদের ঘুমের সময় কমিয়ে ফেলছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ঘুমকে ততটা প্রাধান্য দিইনা। ফলে অনিয়মিত ঘুম, কম পরিমাণে ঘুমানো আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে দাঁড়ায়। ডাক্তারের মতে শরীর ভালো রাখায় ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সারাদিন দৌড়াদৌড়ি, ব্যাস্ততার মাঝে আমাদের উচিত একটি দৈনন্দিন জীবনে সময় সময়ে ঘুমানো। ভালো ঘুম মানসিক এবং শারীরিক ভাবে একান্তই দরকার। এতে বিভিন্ন রোগ যেমন সুগার, হৃদরোগ, স্থূলতা, ডিপ্রেশনের হাত থেকে নিজেদের ভালো রাখতে পারি। স্টুডেন্টদের জন্য ঠিকঠাক ঘুম খুব দরকার। ঘুম আমাদের সারাদিন চনমনে এবং কাজের প্রতি মনোযোগী রাখতেও সাহায্য করে।



ঘুমোতে যাওয়ার এবং ঘুম থেকে ওঠার নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন: 

প্রতিদিনের একটি নির্দিষ্ট কোয়ালিটি সময়ে ঘুমানোর ব্যবস্থার প্রয়োজন এতে circadian rhythm বজায় থাকবে। সূর্যাস্তের কিছু ক্ষণ পর এবং সূর্যোদয়ের কিছুক্ষনের মধ্যে উঠলে এই নিয়মটি বজায় থাকবে।


এক্সারসাইজ করুন: ভালো ঘুমের একটি মোক্ষম দাওয়াই হল এক্সারসাইজ। এটি অনিদ্রা দূর করে। গবেষণা অনুযায়ী এক্সারসাইজ anxiety, স্ট্রেস কমিয়ে ঘুম গাঢ় করতে সাহায্য করে। ফলে এতে শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি হয়। তাই ঘুমাতে যাবার আগে হাল্কা এক্সারসাইজ করতে পারেন, কিন্ত খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত ভারী খাবার পর এক্সারসাইজ করবেন না।


বেডরুম এর পরিবেশ ঘুমানোর উপযুক্ত হতে হবে: পরিস্কার, হট্টগোল কম এমন বেডরুম নির্দিষ্ট করুন। পড়ার জন্য টেবিল চেয়ার ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র ঘুমানোর জন্য বিছানা ব্যবহার করুন, এতে আপনার মাইন্ড রেডি হয়ে যাবে। 

এছাড়া কম আলো, ঠান্ডা পরিবেশ, লাইট মিউজিক, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জায়গা আরো তাড়াতাড়ি ঘুমাতে সাহায্য করবে।


বেডটাইমের আগে মাইন্ড রিলাক্স করুন: অনেকেই তাদের নানারকম চিন্তাভাবনার কারনে ঘুমোতে পারেন না। আপনি যদি late night কাজ করেন তাহলে আপনার পক্ষে ঘুমানোর জন্য active মাইন্ড লাগতে পারে। তাই এমন করে কাজের রুটিন করুন যাতে দিনের বেশিরভাগ সময়টা কাজে লাগাতে পারেন এবং রাত্রে ঘুমানোর জন্য একটি পারফেক্ট সেডিউল করতে পারেন। 

ঘুমানোর ১ঘন্টা আগে ফোন ব্যবহার করবেন না। বই পড়তে পারেন। ধ্যান করুন। এগুলো আপনাকে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে সাহায্য করবে।



স্লিপ ডিসঅর্ডার থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন: স্লিপ ডিসঅর্ডার যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে কোনো ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কার্ডিয়ান সাইকেল, ব্রিদিং স্টাইল, এগুলো ঘুমের উপর প্রভাব ফেলে। এই ক্ষেত্রে ত্রুটি থাকলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। 


আপনি যদি খুব ব্যস্ত হন তাহলে কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে পাওয়ার ন্যাপ নিন। এতে আপনি রিফ্রেশ থাকবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.